শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু ঘোষণা করেছেন যে, শ্রীমদ্ভাগবত হচ্ছে সমস্ত বৈদিক জ্ঞানের এবং ইতিহাসের নির্মল এবং পূর্ণ বর্ণনা। তাতে পরমেশ্বর ভগবানের কয়েকজন অন্তরঙ্গ ভক্তের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে। শ্রীমদ্ভাগবত হচ্ছে শ্রীকৃষ্ণের বাঙ্ময় বিগ্রহ এবং তাই তা শ্রীকৃষ্ণ থেকে অভিন্ন। আমরা যেভাবে পরমেশ্বর ভগবানের আরাধনা করি, ঠিক সেইভাবেই আমাদের শ্রীমদ্ভাগবতের পূজা করা উচিত।
তা যত্ন সহকারে এবং ধৈর্য সহকারে পাঠ করার ফলে আমরা পরমেশ্বর ভগবানের পরম আশীর্বাদ লাভ করতে পারি, যদি তা গুরু-পরম্পরার ধারায় অধিষ্ঠিত সদ্গুরুর কাছ থেকে লাভ করা যায়।
শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর অন্তরঙ্গ সচিব শ্রীল স্বরূপ দামোদর গোস্বামী উপদেশ দিয়ে গেছেন, যাঁরা জগন্নাথ পুরীতে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর দর্শনাভিলাষী, তাঁরা যেন অবশ্যই ব্যক্তি-ভাগবতের কাছে গ্রন্থ ভাগবত পাঠ করেন। ব্যক্তি-ভাগবত হচ্ছেন কৃষ্ণতত্ত্ববেত্তা সদ্গুরু এবং শ্রীমদ্ভাগবত পাঠ করে উপযুক্ত ফল লাভের জন্য তাঁর কাছ থেকে শ্রীমদ্ভাগবতের তত্ত্ব হৃদয়ঙ্গম করতে হয়।
পরমেশ্বর ভগবানের উপস্থিতিতে যে পারমার্থিক লাভ হয়, শ্রীমদ্ভাগবত পাঠ করেও সেই একই ফল লাভ করা যায়। তাই শ্রীমদ্ভাগবত সর্বদাই পরমেশ্বর ভগবানের অপ্রাকৃত আশীর্বাদ বহন করে, যা তাঁর সান্নিধ্যে এলেই কেবল লাভ করা যায়।
Leave A Comment